মোবাইল নেটওয়ার্ক ডেটার ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তন এবং মাইগ্রেশন বুঝতে

David Wrathall & Xin Lu

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আগামী শতাব্দীতে খুব ভাল ভাবে বোঝাজাবে, এর জন্য মানুষের কোন নির্দিষ্ট জায়গায়ে বাস করা এবং নির্দিষ্ট স্থানে কাজ করার ক্ষমতা প্রভাবিত হবে বলে আশা করা হয়, বিশেষত যাদের জীবিকা সরাসরি পরিবেশের উপর নির্ভরশীল, যেমন কৃষক ও জেলে। যখন এটা হবে মানুষ স্থায়ীভাবে নিরাপদ, কম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে চলে যাবে। যদি আমরা বুঝতে এবং চ্যালেঞ্জ নিতে চাই তাহলে জলবায়ু পরিবরতনের কারণে মানুষ কি ভাবে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায়ে সরে যাচ্ছে তার আরো সঠিক সস্তা এবং দ্রুত তথ্য প্রয়োজন। আমাদের এই বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের সক্ষম করবে ও ভবিষ্যতের পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য তৈরি হতে সাহায্য করবে।

ডাটার একটি অবিশ্বাস্য উৎস যা মানুষ কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপে স্থানান্তরিত হচ্ছে তা পরিমাপ করতে এবং আমাদের বোঝার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে তাহলো মোবাইল নেটওয়ার্ক গ্রাহকদের দ্বারা উৎপন্ন তথ্য ব্যবহার করে। জলবায়ু পরিবর্তনের আগে, পরিবর্তনের সময় ও পরিবর্তনের পরে মানুষ কিভাবে স্থানান্তরিত হচ্ছে তার বিস্তারিত টাইমলাইন প্রদান করে নামহীন মোবাইল নেটওয়ার্ক ডাটার খুব বৃহত একটি সেট। জলবায়ু দুর্বলতা, জলবায়ু প্রভাব তদন্ত করার, এবং মাইগ্রেশন প্রতিক্রিয়া দেখার একটি আদর্শ স্থান বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কে সাধারণভাবে উল্লেখ করা হয় জলবায়ু হটস্পট বলে – করন এটি সমুদ্রতলের খুব কাছে, ঘন ঘন গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় হয়, এবং খুব উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব আছে।

Rayhan Arko. (CC BY-NC-ND 2.0)

ডাটার একটি অবিশ্বাস্য উৎস যা মানুষ কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপে স্থানান্তরিত হচ্ছে তা পরিমাপ করতে এবং আমাদের বোঝার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে তাহলো মোবাইল নেটওয়ার্ক গ্রাহকদের দ্বারা উৎপন্ন তথ্য ব্যবহার করে।

ডাটার একটি অবিশ্বাস্য উৎস যা মানুষ কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপে স্থানান্তরিত হচ্ছে তা পরিমাপ করতে এবং আমাদের বোঝার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে তাহলো মোবাইল নেটওয়ার্ক গ্রাহকদের দ্বারা উৎপন্ন তথ্য ব্যবহার করে।

Image: Chittagong, Bangladesh. Tanjil Rahman. (CC BY-SA 2.0)

আমরা জলবায়ুর প্রভাবে স্থানান্তরন এর উপর প্রথম দুটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকাশিত করেছি বাংলাদেশের চরম দক্ষিণে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক থেকে মোবাইল নেটওয়ার্কের তথ্য ব্যবহার করে। আমরা 2013 সালে দক্ষিণ বাংলাদেশে মহাসেন ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পর 60 লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের চলাফেরার ধরণের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি অনামী তথ্য নিয়ে গবেসনা করি। মোবাইল নেটওয়ার্ক ডাটা মহাসেন ঘূর্ণিঝড়ের সময় মাইগ্রেশনের ময়, দিক, সময়কাল এবং সংখ্যা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে আমাদের সাহায্য করে – এবং কিভাবে মাইগ্রেশনের এই বিভিন্ন দিক পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত ছিল তা জানতে সাহায্য করে। আমরা ফলাফল দেখে বিস্মিত হই।

বছর বছর অভিবাসনের সুদৃঢ় নিদর্শন

প্রথম এবং সবচেয়ে আশ্চর্যজনক, প্রত্যাশার বিপরীত, সেখানে ঘূর্ণিঝড়ে স্থানচ্যুতির কোন চিহ্ন ছিলনা। আমরা স্থানচ্যুত জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করতে চেস্তা করছিলাম, কোথায় তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তারা কোথায় গেছে, প্রাথমিকভাবে সাইক্লোনের পরপরই আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ফোনের ব্যাবহারে নাটকীয় বৃদ্ধি লক্ষ্য করি। ঘূর্ণিঝড়ের ছয় সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরে ফোনের ব্যাবহারে প্রায় 50,000 বেড়ে যায়, তার মানে এই সংখ্যা সম্ভবত অন্তত 150,000 অতিরিক্ত মানুষ প্রতিনিধিত্ব করে। জনসংখ্যার এই নাটকীয় বৃদ্ধি খুব অদ্ভুত ছিল, তবে যখন আমরা 2012 সালে বাংলাদেশে চলাফেরার ধরণগুলি তুলনা করি (যখন ঘূর্ণিঝড় ছিল না) 2013 ধরণগুলির সাথে (যে বছর ঘূর্ণিঝড় হয়) আমরা দেখেছি যে মাইগ্রেশন ধরণে কিছুই আলাদা ছিল না। টা দেখা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বর্ষাকালে সাধারণত সময়ের সাথে মেল খাচ্ছে – মে মাসে। চট্টগ্রামে মহাসেনের পর মাইগ্রেশন সংখ্যা আর তার আগের বছরের বর্ষাকালের মাইগ্রেশন সংখ্যা একই। বাংলাদেশে ঋতুর কারণে মাইগ্রেশন খুবই সাধারণ।

এর মানে ওই সব মানুষ মহাসেন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম যাননি। আসলে, আমরা তিনটি সবচেয়ে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত জেলায় গবেষণা করে দেখেছি, 2012 এবং 2013 এ সবকিছু একই ছিল। বস্তুত, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হল চট্টগ্রাম ও ঢাকার প্রধান শহরগুলিতে ঘূর্ণিঝড়-প্রভাবিত জেলা থেকে মাসিক প্রবাহ সামান্য কমে যাওয়া। এই গবেষনা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শহরগুলিতে মাইগ্রেশন বেড়ে যাবে এই ধারণা ভুল প্রমানিত করে। এটা অন্যান্য সাম্প্রতিক রিপোর্ট সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে মানুষ যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ অভিজ্ঞতা করেছেন তারা সচরাচর অর্থনৈতিকভাবে মাইগ্রেট করতে পারবেন না, বা পুনর্গঠনের জন্য বিপর্যয় পরবর্তী এলাকায় প্রয়োজন। বিশ্লেষণ শুধুমাত্র সতর্কতার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে জনসংখ্যার কোনো স্বল্পমেয়াদি পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে। আমাদের বিশ্লেষণ দেখায় কিভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের তথ্য আমাদের প্রতি বছরের মাইগ্রেশনের টাইমলাইন দেয়। বার্ষিক মাইগ্রেশন প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখানোর জন্য। খুব বেশি বৃদ্ধি বা হ্রাস সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের ছয় সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরে ফোনের ব্যাবহারে প্রায় 50,000 বেড়ে যায়, তার মানে এই সংখ্যা সম্ভবত অন্তত 150,000 অতিরিক্ত মানুষ প্রতিনিধিত্ব করে।

টা দেখা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বর্ষাকালে সাধারণত সময়ের সাথে মেল খাচ্ছে – মে মাসে। চট্টগ্রামে মহাসেনের পর মাইগ্রেশন সংখ্যা আর তার আগের বছরের বর্ষাকালের মাইগ্রেশন সংখ্যা একই। বাংলাদেশে ঋতুর কারণে মাইগ্রেশন খুবই সাধারণ।

UWM-CIMSS / William Straka III / NOAA / NASA Suomi NPP Satellite Views of Tropical Cyclone Mahasen in the Northern Indian Ocean (CC BY 2.0)

শহুরে চট্টগ্রামে উদ্বাসন ধরণগুলি পরিষ্কার, কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ, গ্রামীণ বরিশালে নয়

বাংলাদেশের চরম দক্ষিণে বরিশাল বিভাগ মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দুর্যোগ প্রত্যক্ষ করেছে। 500,000 মানুষ 1970 সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড় নিহত হন। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় জীবনের কোন বড় লোকসান করতে পারে নি তার প্রধান কারণ খুব ভাল পূর্বাভাস ও আগাম ব্যবস্থা সমূহ যে বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। মে 2013 দ্বিতীয় সপ্তাহে, যখন মহাসেন সাইক্লোন বঙ্গোপসাগরে গড়তে শুরু হয়, প্রাথমিক পূর্বাভাসের নির্দেশ করে দেয় সম্ভবত চট্টগ্রাম উপর সাইক্লোন আসবে। সরকার উদ্বাসন আদেশ জারি করে এবং মহাসেনের আগের দিন, আমরা চট্টগ্রামে মাইগ্রেশনের অস্বাভাবিক ধরণ লক্ষ করি- মানুষ নিরাপত্তার জন্য অন্য জয়গায়ে চলে যাওয়ার আদেশ পালন করে। মহাসেন এর সময় চট্টগ্রামের মাইগ্রেশন স্বাভাবিক মাত্রা ফিরে আসে।

তবুও শেষ মিনিটে, 15 মে ভোরে, ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উত্তরে দিক পরিবর্তন করে, এবং ঝুঁকিপূর্ণ বরিশাল বিভাগ ক্ষতিগ্রস্থ করে। ঝড়ের সময় আমরা উপকূল বরাবর এবং খেয়া পারাপারের স্বাভাবিক এলাকায়ে ব্যাপক চলাচল দেখতে পাই। এর অর্থ এই যে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র এবং অন্যান্য নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগাম সতর্কবার্তা সত্তেও মানুষ চলাচল করছিল। সৌভাগ্যবশত মহাসেন অপেক্ষাকৃত দুর্বল ঝড় ছিল, এবং জলোচ্ছ্বাসের সময় ভাটার সময়ের সঙ্গে মিলে যায়। অন্যথা, যারা এই সময় চলাচল করছিল তাদের জন্য বিপদ হতে পারত। প্রারম্ভিক সতর্কবাণী সিস্টেম, জীবন বাঁচান এবং দুর্যোগ প্রভাব স্থিতিস্থাপকতা নির্মাণের জন্য একটি সমালোচনামূলক হাতিয়ার, এবং এও বলে কিভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের তথ্য আগাম ব্যবস্থা সমূহ মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, ইঙ্গিত করতে এটা কোথায় টিকঠাক কাজ করছে আর কোথায় মানুশ দেরিতে জায়গা খালি করছে।

15 মে 2013, ‘মহাসেন’ ঘূর্ণিঝড়ের আগের দিনের উদ্বাসন প্যাটার্ন। চট্টগ্রাম উদ্বাসন প্যাটার্ন গুলি স্পষ্ট যেখানে প্রথম সতর্কবার্তা জারি করা হয়।

16 মে 2013 মধ্যরাত এবং সকাল 6:00 টার মধ্যে যখন সাইক্লোন হচ্ছিল। মানচিত্র দেখায় বরিশালের মানুষ কোথায় অস্বাভাবিক সংখ্যায় চলে যায় যখন ঝড় থেমে যায়।

তবুও শেষ মিনিটে, 15 মে ভোরে, ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উত্তরে দিক পরিবর্তন করে, এবং ঝুঁকিপূর্ণ বরিশাল বিভাগ ক্ষতিগ্রস্থ করে। ঝড়ের সময় আমরা উপকূল বরাবর এবং খেয়া পারাপারের স্বাভাবিক এলাকায়ে ব্যাপক চলাচল দেখতে পাই।

মাইগ্রেশনের হার যত বাড়বে সময় তত বাড়বে
বার্ষিক প্রবাহ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, মাইগ্রেশনের হার এবং মাইগ্রেশন সময়কাল মধ্যে সম্পর্ক আছে। সাধারণভাবে, একটি এলাকায় যে অভিবাসীদের অনেক বেশি সংখ্যা আছে সেখানে অভিবাসীরা বাড়ি থেকে বেশি সময় দূরে থেকেছে। একটি দ্রুত শহরাঞ্চল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ছবি সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ, পোশাক, নির্মাণ এবং পরিবহন খাতে শহুরে কাজের বৃদ্ধির জন্য। সময়ের সাথে সাথে, এই ধরণের তথ্যের নগরায়নের বেগ নির্ধারণের জন্য খুবই উপযোগী হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যত স্পষ্ট হবে কিভাবে দ্রুত নগরায়ন ঘটে সেটা দেখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে যাতে, যাতে অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ দ্রুততর বেগে করা যেতে পারে।

যে এলাকায় বেশি সংখ্যা এ অভিবাসী উৎপন্ন করে সেখানে দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেশন উৎপন্ন করা হবে। তবে এই নিয়মের অনেক ব্যতিক্রম আছে। যদি, উদাহরণস্বরূপ, একই গ্রামের একদল লোক স্থায়ীভাবে একই সময়ে শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অথবা যদি কিছু মানুষ একই সময়ে শহর থেকে বাড়িতে আসি, সেটা এই নিয়ম লঙ্ঘন হবে। সর্বনাশা বন্যা এবং স্থানচ্যুতি, অথবা শহরে চাকরি খুঁজে পেতে সমস্যা এই ব্যতিক্রমের সম্ভাব্য ব্যাখ্যা। আমরা কোনো অনুমান করতে পারি না, মোবাইল নেটওয়ার্ক ডাটা নগরায়নের বেগ দেখার জন্য একটি প্রধান সূচক প্রদান করে। হার বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হওয়া সমস্যা করতে পারে।

ঝড়ের সময় আমরা উপকূল বরাবর এবং খেয়া পারাপারের স্বাভাবিক এলাকায়ে ব্যাপক চলাচল দেখতে পাই। এর অর্থ এই যে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র এবং অন্যান্য নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগাম সতর্কবার্তা সত্তেও মানুষ চলাচল করছিল।

Image: Chittagong, Bangladesh. Tanjil Rahman. (CC BY-SA 2.0)

যখন আউট-মাইগ্রেশন বেড়ে যায়, ইন-মাইগ্রেশন কমে যায়।
অন্য একটি আকর্ষণীয় দীর্ঘমেয়াদী চলাফেরার প্রবাহের প্যাটার্ন যা আমরা লক্ষ করেছি সেটা হল ইন-মাইগ্রেশন ও আউট-মাইগ্রেশনের নেগেটিভ সম্পর্ক। অন্য কথায়, যখন কোন এলাকা থেকে অনেক মানুষ চলে যায় সেখানে অনেক কম মানুষ থাকতে আসে। বিপরীতটাও সত্য – যদি অনেক মানুষ কোন এলাকায় থাকতে আসে তবে খুব কম মানুষ কে সেখান থেকে চলে যেতে দেখা যায়। আবার, বাংলাদেশে নগরায়নের সাধারণ প্রবণতা বুঝার এটা আর একটি উপায়:মানুষ শহরে চলে যাচ্ছে।

আউট মাইগ্রেশন বৃদ্ধি এবং ইন-মাইগ্রেশন কমার ব্যাখ্যা গ্রামাঞ্চলে কম কাজের সুযোগ বা কম মজুরি এবং শহরে আরো ভাল কাজের সুযোগ। কম কাজ এবং কম বেতনের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে বন্যা, খরা বা পরিবেশগত ক্ষয় অন্য কোন রকম যা চাষ এবং মাছ ধরা প্রভাবিত করে। এই ক্ষেত্রে, নগর এলাকার মাইগ্রেশন নির্দেশ করবে যে মানুষ পরিবেশগত চাপে মানিয়ে নিয়ে মাইগ্রেট করছে। তবে একই প্রবণতা হতে পারে কারণ একটি ক্রমবর্ধমান বিশ্বায়িত অর্থনীতিতে একটি ছোট চাষীর বাস করা খুব কঠিন।

এই ক্ষেত্রে, নগর এলাকার মাইগ্রেশন নির্দেশ করবে যে মানুষ পরিবেশগত চাপে মানিয়ে নিয়ে মাইগ্রেট করছে।

ব্যাখ্যার তথাপি, আউট মাইগ্রেশন এবং ইন-মাইগ্রেশনের সম্পর্ক জোরদার নয়। অনেক ক্ষেত্রে, আউট মাইগ্রেশন কমা বাড়া বা একই রকম থাকা ইন-মাইগ্রেশনের হারের সাথে মেল খায়ে। এই ফলাফল একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুস্মারক যে যখন একটি এলাকা এ ঘূর্ণিঝড় আসে সেখানে আউট মাইগ্রেশন বৃদ্ধি পায় সতর্কতার সাথে অনুমান করা যেতে পারে এলাকাটি জনসংখ্যার একটি সামগ্রিক নিট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। হারিকেন কাটরিনার পর যদিও অনেক মানুষ নিউ অর্লিন্স ছেড়ে চলে যায়, একই সময় বৃহৎ সংখ্যক মানুষ শহরে আসে পরিত্যক্ত এলাকাগুলোর পুনর্নির্মাণের কাজ করতে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর, যদি কোন জায়গায়ে খুব বেশি আউট মাইগ্রেশন হয় তাহলে ইন- মাইগ্রেশনের হার ও দেখে উচিত। মাইগ্রেশনের একটি আংশিক ছবি জলবায়ু সংক্রান্ত দুর্যোগে মানুষ কিভাবে প্রভাবিত হচ্ছে তা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে না। এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কাছে হার মানেনি, এবং মোবাইল অপারেটর তথ্য এই প্রবণতা নিরীক্ষণ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

Subscribe To Our Newsletter

Get our weekly briefing. All the latest news, events and research. In your inbox, every week. 

You have successfully signed up

Share This